দিন দিন বাড়ছে অর্থনৈতিক বৈষম্য

আগের সংবাদ

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় জাতিসংঘ

পরের সংবাদ

অফিসে চাপ কমাতে যা করবেন

আইর/

রূপান্তর লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৩ , ৫:১৭ অপরাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২৩ , ৫:৩৬ অপরাহ্ণ

বর্তমান গতিশীল বিশ্বে কর্মক্ষেত্রে চাপ বা উদ্বেগ খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। কাজের সময়সীমা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলে বা কাজের চাপে দিশাহারা হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হলে সতর্ক হোন। মানসিক সুস্থতা এবং সামগ্রিক উৎপাদনশীলতার জন্য এগুলো বুঝতে পারা এবং পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামপ্রতিক গলপ পোল অনুসারে, ৬২% কর্মক্ষেত্রে অবিরাম স্ট্রেস এবং ৩৩% কাজের পরিবেশের কারণে প্রতিদিন ৫-৩০ মিনিট উৎপাদনশীল কাজের ক্ষতির কারণ হয়ে উঠেছে। একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ১০% কর্মী মনে করেন যে তারা এমন পরিবেশে কাজ করেন যেখানে কর্মীরা কাজের চাপের কারণে শারীরিক সহিংসতায় জড়িত ও ২৯% তাদের সহকর্মী চিৎকার করে যখন ১৯% কর্মক্ষেত্রে চাপ ও উদ্বেগের কারণে তাদের আগের চাকরি ছেড়ে এসেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুমান করে যে, কর্মক্ষেত্রে উদ্বেগ এবং চাপ প্রতি বছর কমপক্ষে এক ট্রিলিয়ন উৎপাদনশীলতা হারায়। চিকিৎসা গবেষকরা পরামর্শ দেন যে, কেউ যদি কর্মক্ষেত্রে চাপ এবং উদ্বেগের সঙ্গে লড়াই করেন তাহলে এই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে-

চাপ এড়িয়ে যাবেন না

সমস্যা সমাধানের প্রথম ধাপ হলো সমস্যাকে স্বীকৃতি দেওয়া। অফিসে আপনি চাপ বা উদ্বিগ্ন বোধ করতেই পারেন। এই অনুভ‚তিগুলো অস্বীকার করা বা দমন করার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। কারণ এড়িয়ে গেলে তা সমস্যাগুলো আরও তীব্র করে তুলতে পারে। তাই চাপ অনুভব করলে তা স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করুন। এটিই সমস্যা মোকাবিলার প্রথম পদক্ষেপ।

কাজ এবং ব্যক্তিগত সময়ের মধ্যে স্পষ্ট সীমারেখা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভারসাম্য মানসিকভাবে আপনাতে সতেজ রাখবে। কাজের সময় নির্ধারণ করা, নিয়মিত বিরতি নেওয়া, সন্ধ্যায় বা সপ্তাহান্তে নিজের মতো করে সময় কাটানোর মতো অভ্যাস রাখুন। এতে অফিসে কাজের কারণে চাপ বা উদ্বেগের পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে।

সরাসরি কথা বলুন

সবচেয়ে বড় চাপের একটি হলো কারও সঙ্গে সংযোগ না থাকা। কোনোকিছু নিয়ে অতিরিক্ত চাপ অনুভব করলে সহকর্মী বা উর্ধ্বতনদের সাথে সরাসরি কথা বলুন। তারা কাজের চাপ পরিচালনা করতে সাহায্য করবেন। তাদের কাছ থেকে নতুন দৃষ্টিকোণ, সমাধান বা সংস্থানের কার্যকরী পরামর্শ পেতে পারেন। মনে রাখবেন, সাহায্য চাওয়া দুর্বলতার লক্ষণ নয়; এটি মানসিক সুস্থতার দিকে একটি সক্রিয় পদক্ষেপ।

মেডিটেশন

গ্রাউন্ডিং ব্যায়াম, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের কৌশল এবং মেডিটেশন অন-দ্য-স্পট এর মতো হালকা ব্যায়াম বেছে নিতে পারেন। এতে আপনার চাপ ও উদ্বেগ কমে গিয়ে প্রশান্তি ফিরে আসবে। কয়েক মিনিট গভীল শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে আপনার নিজেকে অনেকটাই হালকা মনে হবে।

প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন

একটানা যদি চাপ অনুভব করেন, তাহলে তা সমাধানের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। এভাবে চাপ অনুভব করা কোনো দুর্বলতা নয়। প্রত্যেকেই কর্মজীবনের কোনো না কোনো সময়ে চাপের সম্মুখীন হয় যা তাদের মানসিক সুস্থতাকে বিঘ্নিত করতে পারে। এক্ষেত্রে দক্ষ বা বিশেষজ্ঞ কারও পরামর্শ নিন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়