ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শনিবার মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধরত দুই ভূখন্ডের সরকারপ্রধানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এই ফোনালাপের সত্যতা নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস। খবর রয়টার্সের।
এক লিখিত বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, শনিবার প্রথমে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টকে টেলিফোন করেছিলেন জো বাইডেন। ফোনে আব্বাসকে তিনি বলেন, গাজা ভূখন্ডের বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের শিগগির মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন, তা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর দিন থেকেই গাজা ভূখন্ডে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ইসরাইল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে গত এক সপ্তাহ ধরে ইসরাইলের বিমান বাহিনীর ব্যাপক বোমা হামলায় মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বিধ্বস্ত গাজা ভূখন্ড।
মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনালাপের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফোনে নেতা নিয়াহুকে চলমান এই যুদ্ধে ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন জো বাইডেন। সেই সঙ্গে এই যুদ্ধের সহিংসতা যেন না বাড়ে- সে বিষয়ক সতর্কবার্তাও নেতানিয়াহুকে তিনি দিয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইল-ফিলিস্তিনের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে না পড়া ঠেকাতে ওই অঞ্চলের মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে সক্রিয় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবারের ফোনকলে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টকে এই বার্তাই দিয়েছেন আমাদের প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতি অটুট সমর্থন এবং ফিলিস্তিন, বিশেষ করে গাজা ভূখন্ডের বাসিন্দাদের শিগগির মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ পাঠাতে প্রয়োজোনীয় পদক্ষেপ নেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ বাধার পর থেকে অবশ্য নেতানিয়াহুর সঙ্গে নিয়মিতই টেলিফোনে যোগাযোগ হচ্ছে বাইডেনের, তবে মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে এই প্রথম কথা হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।