অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে নীতিমালার আলোকে ব্যবস্থার নির্দেশ

আগের সংবাদ

শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের রোল মডেল- নাসির উদ্দিন এম.পি.

পরের সংবাদ

পাইকগাছায় ১১ দিনের ব্যবধানে পুকুরে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৩ , ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২৩ , ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ

খুলনার পাইকগাছায় ১১ দিনের ব্যবধানে পুকুরে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশু তিনটি পরিবারের এখনো চলছে কান্না ও শোকে কাতর সবাই। পারিবারিক সচেতনতার অভাবে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে বলে জানান সচেতন মহল। চলতি মাসে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে পানিতে ডুবে তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

পারিবারিক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার(৩ অক্টোবর) উপজেলার হরিঢালী ইউপির দক্ষিণ সলুয়া গ্ৰামের মিঠুন সরদারের একমাত্র পুত্র আরিফুল সরদার(৬)‌‌‌‌‌পানিতে ডুবে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশে খেলা করার সময় পুকুর পাড়ে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়।

এসময় আরিফুলের বন্ধুরা পরিবাররকে জানালে অচেতন অবস্থায় আরিফুলের পিতা পুকুর থেকে তুলে নিয়ে আসে। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে দ্রত কপিলমুনি হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর)সকাল ৯ টা দিকে খেলা করার সময় উপজেলার গদাইপুর ইউপির চরমলই গ্ৰামের বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর)সকাল ৯ টা দিকে খেলা করার সময় পুকুরে ডুবে নুরজাহান খাতুন নামে এক শিশু পুকুরে ডুবে মারা যায়।

সে উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের চরমলই গ্রামের নুরু গাজীর মেয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পুকুর ডুবে মৃত্যুর পর ঐদিন সকাল ১০ টার দিকে মরে ভেসে উঠলে তাকে দেখে পরিবারের লোকদের সংবাদ দিলে তাকে ডাঙ্গায় তুলে হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে।

সর্বশেষ বুধবার (১২ অক্টোবর) উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের আলমতলা গ্রামে পুকুরে ডুবে আড়াই বছরের শিশু তাছপিয়র মৃত্যু হয়। শিশুটির বাবা আলাউদ্দিন গাজী বলেন, ‘সকালে আমি ধানমাড়াই করে বাড়ি আনার সময় মেয়ে আমার পিছে পিছে ছিল। রাস্তায় কাঁদার কারণে ভ্যান রাস্তায় রেখে মাথায় করে ধান মাড়াই করা চাল বাড়িতে রওনা দিলে সে পুকুরে পড়ে যায়। বাড়িতে চাল রেখে মেয়েকে খুঁজতে গেলে রাস্তার পাশে পুকুরে ভাসতে দেখি। এ সময় তাঁকে পুকুর থেকে উঠিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রুকসানা আফরোজ তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. জিএম আজমল হোসেন বলেন, বৃষ্টি মৌসুমে সব জায়গায় পানিতে ভরে গেছে। আমাদের সবসময় শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। একটি ভুলের জন্য সারাজীবনের কান্না। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। তাহলে আমরা পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হার রোধ করতে পারবো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়