বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গুজবের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সোমবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর ছড়িয়ে পড়ে নানা মহলে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, বলেও আলোচনা ওঠে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সোমবার সকালে তার চিকিৎসক বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে ব্রিফ করা হয়েছে। এরপর বিকালে সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখন ম্যাডামকে সুস্থ করতে হলে বিদেশে না নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তাদের এই বক্তব্যের পর বোঝার বাকি থাকে না, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ।’
‘বেগম জিয়াকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রকম খবর ছড়ানোর সুযোগ খুঁজতে পারে সুযোগন্ধানীরা। ভুল সময়ে নেতাকর্মীদের উত্তেজিত করার কৌশলও হতে পারে। ফলে ম্যাডাম জিয়াকে নিয়ে যেকোনও তথ্য জানার জন্য উপযুক্ত দায়িত্বশীলরা আছেন। বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই’ বলেন শায়রুল কবির খান।
বিএনপির দায়িত্বশীলরা বলছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিপন্ন। তার বিদেশে চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। তার শারীরিক বিষয়ে চিকিৎসক এবং চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা নির্দেশিত হয়ে জানাবেন।
‘এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি’ মন্তব্য করে সোমবার সকালে অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘যদি বিদেশের কোনও উন্নত মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সেন্টারে টিপ করানো হয় এবং পরবর্তী সময়ে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করানো হয়; সম্ভবত আমাদের হাতে এখনও অপশন আছে, হয়তো ওনার উন্নতি ঘটাতে পারবো।’
সোমবার মধ্যরাতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বাড়তি তৎপরতা দেখা গেছে- বলে তথ্য প্রচার হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তা ‘সঠিক তথ্য নয়’ বলে জানানো হয়েছে।
পল্টন থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ রাত একটা দিকে বলেন, ‘নয়া পল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কোনও ধরনের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন নেই। এমন কোনও তথ্য নেই যে কারণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।