চুইংগাম খাবার হলেও এটি পুরোটা খাওয়া যায় না। চিবিয়ে চিবিয়ে একটা সময় ফেলে দিতে হয়। আমাদের অনেকেরই এই চুইংগাম চিবানোর অভ্যাস আছে। চুইংগাম চিবানোর এই অভ্যাসের আছে কিছু উপকারী দিক। এটি গালের মেদ কমাতে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দারুণ কাজ করে।
চুইংগাম চিবিয়ে পরবর্তীতে ফেলে দিতে হবে। তবে অনেক সময় বেখেয়ালে এই চুইংগাম মুখ থেকে ফেলে দেওয়ার বদলে গিলে ফেলেন কেউ কেউ। অসতর্কতায় এমনটা ঘটতেই পারে। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, চুইংগাম পেটে গেলে কী হয়? এর ফলে স্বাস্থ্যে কী প্রভাব পড়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ছোটবেলায় আমরা প্রায় সবাই জেনেছি, ফলের বীজ খেয়ে ফেললে পেটের ভেতর গাছ জন্মাবে! আবার চুইংগাম খেয়ে ফেললে তা বছরের পর বছর ধরে পেটের ভেতরেই থেকে যাবে, এমনটাও বলেন অনেকে। এমনকী একথা বিশ্বাস করা লোকের সংখ্যাও কম নয়।
চুইংগাম গিলে ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। ভুল করে যদি গিলেই ফেলেন, তাহলেও চিন্তার কিছু নেই। কারণ চুইংগাম পেটের ভেতরে গেলে তা এক সপ্তাহের মধ্যে হজম হয়ে যায়।
অতীতে চুইংগাম তৈরি হতো মিষ্টি, নানা স্বাদের ফ্লেভার, প্রিজারভেটিভ ও সফেনার দিয়ে। যা আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যে উপস্থিত থাকে এবং হজমে কোনো ব্যাঘাত ঘটায় না। কিন্তু বর্তমানে চুইংগাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয় সিন্থেটিক পলিমার বা ইলাস্টোমার, রাবার জাতীয় পদার্থ। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিবেচিত হতে পারে।
সিন্থেটিক পদার্থ বড় জোর এক সপ্তাহ পাকস্থলিতে থাকতে পারে এমনটাই বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ)। তারা জানান, এক সপ্তাহ পর চুইংগাম স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
চুইংগাম বেশি খেলেও তা শরীরের কোনো ক্ষতি করে না, এটিও সত্যি নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি পরিমাণে চুইংগাম খেলে পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্রমে ব্যাঘাত তো ঘটাবেই, এমনকী শ্বাসকষ্টও হতে পারে। হার্টে চাপও পড়ে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।