প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৩ , ১:১৪ অপরাহ্ণ আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২৩ , ১:১৪ অপরাহ্ণ
ইসরাইল বাহিনী ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। নতুন নতুন হামলায় বেড়েই চলেছে হতাহতের সংখ্যা। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত ইসরাইলির সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
এ ছাড়া সংঘর্ষে ইসরাইলে ২ হাজার ২০০ আর ফিলিস্তিনে দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিøঙ্কেন জানিয়েছেন, ইসরাইলে বেশ কয়েকজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নিহত হবার খবর তারা পেয়েছেন এবং এসব খবরের সত্যতা যাচাই করার কাজ চলছে।
এছাড়া গাজা সীমান্তের কাছে কর্মরত ছিলেন এমন একজন ব্রিটিশ নাগরিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
গত শনিবার ইসরাইলে বড় ধরনের আক্রমণ শুরু করে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর রবিবার দিনভর গাজা উপত্যকায় পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল, যার অবসানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দেশটির ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, গাজায় হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে আক্রমণ করা হচ্ছে। ইসরাইলর বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় আমরা কাজ করে যাবো বলে তারা ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) নেতার সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট কথা বলেছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত মিডিয়া খবর দিয়েছে। তবে ওই দুই নেতার সঙ্গে ইব্রাহিম রাইসির আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি।
হামাস ইরানের সমর্থনপুষ্ট। দেশটি তাদের অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করে থাকে। রবিবার সকালের দিকে হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আক্রমণ শুরু করার আগে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়েছিল ইসরাইলের সেনাবাহিনী।
গাজা উপত্যকার সাতটি ভিন্ন ভিন্ন এলাকার নাগরিকদের নিজেদের ঘর থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরাইলের সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে যে সেসব এলাকায় হামাসের ঘাঁটি রযেছে, সেখানে নতুন হামলা চালানো হবে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।