জনগণের অসচেতনতা, অপরিকল্পিত ড্রেন
টানা কয়েক দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিতে যশোর শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তাসহ যশোর সরকারি মাইকেল মধূসুদন মহাবিদ্যালয় (এমএম কলেজ) ক্যাম্পাসের ভিতরে, দক্ষিণ গেটের সামনের রাস্তাতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার ড্রেন দিয়ে বৃষ্টির পানি নিস্কাসন হচ্ছে না। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যাচ্ছে কলেজের মাঠসহ রাস্তা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী ও পথচারী।
শুক্রবার সকালে কলেজসহ শহরের খড়কি এলাকার বটতলা থেকে জেবিন মোড় হয়ে কবরস্থান এলাকায় দেখা যায়, এ রাস্তায় ইজিবাইক, রিকশা ও অটোরিকশা যেতে চাচ্ছে না। অটোরিকশাচালক রুহুল শেখ বলেন, ‘‘বৃষ্টি হলেই কলেজের ভিতরে, কলেজের সামনের ব্যস্ততম এ সড়কে প্রায় সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পানি নিস্কাসন ব্যবস্থা খুবই খারাপ। ময়লা-আবর্জনার ফলে ড্রেন দিয়ে পানি নিস্কাসন হচ্ছে না। যে কারণে রিকশা ও অটোরিকশা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে’’। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ছুটির দিনে মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলেজের ভিতরে, কলেজের আশেপাশের বাসা বাড়িসহ মেসে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে। এতে শঙ্কিত রয়েছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। বৃষ্টির পানির সাথে প্রবেশ করছে বিভিন্ন পোকামাকড়। বৃষ্টির পানিতে রাস্তার বেহাল দশা, জায়গায় জায়গায় পিচ উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগীরা।
যশোরের মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ঠ লঘু চাপের কারণে কয়েক দিনের এ টানা বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তায় গোড়ালি থেকে হাঁটু সমান পানি জমেছে।
একাধিক শিক্ষাথীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলেজের হাজার হাজার শিক্ষাথী খড়কি এলাকায় মেসে থেকে পড়াশোনা করেন। কিন্তু বৃষ্টির সময় জলাবন্ধতায় বিপাকে পড়েন এ শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় রাস্তা ও কলেজ ক্যাম্পাস। গোড়ালি থেকে হাঁটু সমান পানি জমে। কলেজে আসার সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে ভিজে যায় কাপড়, আর রিক্সায় উঠলে ভাড়া দ্বিগুণ। অনেক সময় অতিরিক্ত পানি থাকায় শিক্ষার্থীরা ড্রেনে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও কম নয়। এছাড়াও ড্রেনের নোংরা পানিতে ঠান্ডা-জ্বর, চুলকানিসহ নানা রকম চর্মরোগে শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছে।
এসব শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পৌরসভা থেকে ড্রেন ঠিকমতো পরিস্কার না করায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থী, পথচারীসহ এলাকাবাসীর অসচেতনতায় ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা বেধে পানি নিস্কাসনে বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সকলের।
যশোর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।