পাকিস্তানের মুলতান বিমানবন্দর থেকে সৌদির রাজধানী রিয়াদের উদ্দেশে যাওয়ার সময় ১৬ জন ভিক্ষুককে ফ্লাইট থেকে নামিয়ে নিয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি-এফআইএ এর কর্মকর্তারা। খবর ডনের।
জানা যায়, ওই ১৬ জনের মধ্যে ১১ জন মহিলা, চার পুরুষ এবং এক শিশু রয়েছে। মূলত ওমরা পালন ও সে সুযোগে অতিরিক্ত আয়ের আশায় ভিক্ষা পাওয়ার জন্য তারা সৌদি আরব যাচ্ছিলেন।
এতদিন ভিক্ষা হিসেবে পাওয়া সারা জীবনের সঞ্চয় তারা একটি ভ্রমণ সংস্থার এজেন্টকে দিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে। সেই এজেন্টই তাদের সৌদি আরবের ভিসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
কিছু দিন আগেই পাকিস্তান সরকারকে হজ/ওমরাযাত্রী বাছাইয়ের বিষয়ে কিছু ‘পরামর্শ’ দিয়েছিল সৌদি সরকার। হজযাত্রায় কোটায় আবেদনকারীদের মনোনয়নের বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার কথা বলা হয় ওই বার্তায়।
সৌদি সরকারের এক বার্তায় পাকিস্তানকে জানানো হয়, কোনোভাবেই যাতে ভিখারি কিংবা পকেটমারের মতো ছিঁচকে অপরাধীরা হজের সুযোগ না পান, সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয় স্পষ্ট ভাষায়। তার পরই সৌদি যাওয়ার পথে ১৬ জন ভিখারিকে নামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
হজপ্রত্যাশীদের নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে প্রতিটি দেশের জন্য কোটা নির্দিষ্ট করে দেয় সৌদি আরব। কোন দেশ থেকে কত জন মক্কায় আসবেন, তা সৌদিকে আগে থেকে জানাতে হয়। কোটার মাধ্যমে আর্থিক সাহায্যও মেলে। সেই কোটার সুযোগে যাতে ভিখারি কিংবা অপরাধীরা ঢুকে পড়তে না পারে সে বিষয়ে আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি আরব।
আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের জেলগুলোতে আপনাদের দেশের কয়েদিদের ভিড় জমে গেছে। আর জায়গা নেই।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।