পুলিশের হস্তক্ষেপে রাতারাতি স্থান ত্যাগ
যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের জামায়াতের সাধারন সম্পাদক নাজমুল ইসলামের শাড়ি ও চাল বিতরন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন ও যুবলীগ নেতা আশিকুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভিতরে ২৫০ বস্তা চাল, শাড়ি ও বোরখা রাখেন ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি নাজমুল ইসলাম। ওইদিন রাতেই চাল কাপড় বিতরন করা হবে। সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা আশিকুর রহমান । খাদ্য ও বস্ত্র বিতরনের আগ মুহুর্তে স্কুল মাঠে পুলিশ গেলে অনুষ্ঠান ভন্ডুল হয়ে যায়।
ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি নাজমুল ইসলাম রূপান্তর প্রতিদিন‘কে বলেন, এটা জামাতের কোন প্রোগ্রাম না। এ প্রোগ্রাম একটি সংস্থার। আমি ওই সংস্থার যশোর প্রতিনিধি। সাধারন মানুষের জন্য ওই সংস্থা যা পাঠায় সেটা আমরা বন্টন করি। এইটাতো গোপনীয় কোন বিষয় না এখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, স্থানীয় যুবলীগ নেতা আশিকুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
তাহলে রাতে অনুষ্ঠান সম্পন্ন না করে মালজিনিস অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে গেলেন কেন? এ প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের এ নেতা বলেন, পুলিশকে কে বা কারা তথ্য দিয়েছে স্কুল মাঠে জামায়াতের প্রোগ্রাম চলছে, তাই পুলিশ এসে আমাদের মালপত্র রাতের ভিতরেই অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। সে নির্দেশে আমরা রাতেই সরিয়ে ফেলি। পরবর্তীতে আমরা এগুলো বিতরন করবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, নাজমুলের খাদ্য ও বস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিনসহ কয়েকজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন রূপান্তর প্রতিদিন‘কে জানান, স্কুল মাঠে একটা অনুষ্ঠান হচ্ছে তাই শুনে আমি গিয়েছিলাম পরে পুলিশ এসে অনুষ্ঠানে বাধা দিলে আমরা চলে আসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতয়ালী মডেল থানার এস আই তুহিন বলেন, নাজুমুল সাহেব চাল ও কাপড়চোপড় প্রদান করবেন শুনে আমি গিয়েছি যেহেতু আমি ওই বিটের দায়িত্বে আছি। তিনি আরও জানান, নাজমুল ইসলাম আগে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারি ছিলেন বর্তমানে কোন পদে নেই। মালজিনিস যা ছিল ওগুলো একটি সংস্থার।
রামনগর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহারূল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি ওখানে পুলিশ গিয়ে মালজিনিস জব্দ করেছে পরে কি হয়েছে সেটা ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে জানাতে পারবো।
এ ব্যপারে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, বিষয়টি আমি এখনও জ্ঞাত না। যদি ঘটনা সঠিক হয়, তবে তা তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।