যশোরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কেক কাটলেন মিন্টু

আগের সংবাদ

আমি প্রতিকি ‘‘কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ’’ : হুমায়ারা জান্নাত

পরের সংবাদ

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের হয়রানি, পিতাকে থাপ্পর মারার অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩ , ৭:৫৩ অপরাহ্ণ আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩ , ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

যশোরের অভয়নগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক শিশু রোগীকে পরীক্ষার নামে হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোগীর পিতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও যশোর জেলা সিভিল সার্জনের কাছে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

হয়রানির শিকার উপজেলার জাফরপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই শিশুর পিতা মো. আল আমিন জানান, তার ৩৭ দিন বয়সী কন্যা সন্তান মোছা. আয়াত জ্বরে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য তাকে দুই দিন আগে গত সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে নিয়ে আসেন। আউটডোরে তখন চিকিৎসা দিচ্ছিলেন ডা. ঈশিতা ইয়াসমিন। তিনি আয়াতকে দেখার পর বুকের একটি এক্সরে করার জন্য পরামর্শ দেন। ডাক্তার রিপোর্টটি স্থানীয় পালস অথবা লাইফ কেয়ার ডায়াগস্টিক সেন্টার থেকে করাতে বলেন। রোগীর অভিভাবক ওই এক্সরেটি সেখান থেকে না করিয়ে স্থানীয় ল্যাবওয়েভ ডায়াগস্টিক সেন্টার থেকে করান।

ফলে ডা. ঈশিতা ইয়াসমিন ওই রিপোর্ট দেখে রাগান্নিত হয়ে বলেন,“ রিপোর্টটি যেখান থেকে করাতে বলেছিলাম সেখান থেকে না করিয়ে আপনি অন্য স্থান থেকে কেনো করেছে ? এ রিপোর্টে ভুল আছে। যান যেখানের কথা বলেছি রিপোর্টটি সেই স্থান থেকে আবার করে নিয়ে আসেন।”

এ ঘটনায় রোগীর পিতা আলামিন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামানের কাছে অভিযোগ করলে ডা. ঈশিতা ইয়াসমিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সামনে শিশুর পিতাকে থাপ্পড় মারতে যায় এবং নানা রকম হুমকি মূলক কথা বলেন। যদি ডায়াগস্টিক সেন্টারের কোন সমস্যা থাকে, তো কেন সেটার অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা সাধারণ রোগীরা তাহলে কোথায় যাব। কিভাবে বুঝবো কে সঠিককে ভুল । আমাদের রোগীদের হয়রানির শেষ কোথায়।

ল্যাবওয়েভ ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক মো. সুজন বলেন, আমার রিপোর্ট সঠিক আছে। কোন প্রকারের ভুল নেই। ডা. ঈশিতা ইয়াসমিন থাপ্পড় মারার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি রোগীকে পরীক্ষার জন্য কোনো ডায়াগস্টিকের নাম বলিনি। রোগীর জন্য যে রিপোর্টটি করানো হয়েছে তাতে ভুল আছে। এ কারনে তাকে আবার রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান রোগীকে ধমক দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় আমাকে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আমি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একে এম আবু নওশাদ বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, আমি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

জেআ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়