ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বলিভদ্রপুর-রামচন্দ্রপুর-আজমপুর-কাশিপুর-সৈয়দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগের আগেই নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ করেছেন, ফিরোজ হোসেন নামে এক ভুক্তভোগি। এদিকে টাকা নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না, বলে দাবি করেন, অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি মুক্তার হোসেন।
জানা যায়, সম্প্রতি মহেশপুরের বলিভদ্রপুর-রামচন্দ্রপুর-আজমপুর-কাশিপুর- সৈয়দপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবসৃষ্ট ৪ টি পদে লোকবল নিয়োগ দেয়া হবে মর্মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পদগুলোর মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক একজন, আয়া একজন, নিরাপত্তা কর্মী একজন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী একজন। গেল ২৯ মে ওই সংক্রান্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়েছে ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকে । এরপর আগ্রহী প্রার্থীরা বিধি মোতাবেক বিদ্যালয় বরাবর আবেদনও করেছেন বেশ কয়েকজন। এরমধ্যে একজন হচ্ছেন,ফিরোজ হোসেন। তিনি আবেদন করেছেন,নিরাপত্তা কর্মী পদে। এ পদে নিয়োগ পেতে ১৩ লাখ টাকা চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ওই ভুক্তভোগী।
ফিরোজ হোসেন বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আমি আবেদন করি নিরাপত্তা রক্ষী পদে। এরপর বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, বিদ্যালয়ের সভাপতি মুক্তার হোসেনের সঙ্গে। তিনি এই পদে চাকুরী পেতে ১৩ লাখ টাকা দাবি করেন আমার কাছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুক্তার হোসেন। তিনি বলেন,টাকা চাওয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না। আর কে টাকা চেয়েছে,তাও আমার জানা নাই।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামিনুর ইসলাম তোতা বলেন, বিদ্যালয়ের ৪ টি শূণ্য পদে নিয়োগ রয়েছে। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়েছে। এ সব পদে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টাকা চাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। সভাপতি চাইতে পারে কিনা,জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনিও টাকা চাওয়ার মত মানুষ না। কে টাকা চেয়েছেন,তা আমার জানা নাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল বলেন, নিয়োগ আছে কিনা জানা নাই। আর অর্থ বানিজ্য হচ্ছে কিনা সেটাও আমার জানা নাই। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটি জানেন। ওখানে আমাদের লাগে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।