মেহেরপুরের নারী জাগরনের অগ্রদুত হয়ে কাজ করছেন জনপ্রশাসন প্রমিন্ত্রীর সহধর্মিনী ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ- সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পরিবার থেকে উঠে আসা এই নারী নেত্রী ইতিমধ্যে জায়গা করেনিয়েছে মেহেরপুরের সাধারণ মানুষের মনে। নারীদের নিয়ে তার নিয়মিত উঠান বৈঠক সরকারের উন্নয়ন প্রচারনায় ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে নারীদের নিয়ে পরিচ্ছন্ন মেহেরপুর গঠনেও রাখছেন অবদান।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এর আগে কখনো নারীদের এমন সক্রিয় অংশগ্রহন ছিলনা। মেহেরপুরের এক সময়কার নিষ্ক্রিয় যুব মহিলা লীগকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে দাড় করিয়েছেন তিনি। নিজের কাজের মধ্য দিয়ে যোগ্যতা প্রমান করে হয়েছেন কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেত্রী। এছাড়াও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতেও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আগামী দ্বাদস সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরকারের উন্নয়ন প্রচারনায় মেহেরপুর ১ আসন চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। জানাগেছে, সদর উপজেলার ১০৪ টি গ্রাম ও মুজিবনগর উপজেলার ৩১ টি গ্রামে তিনি নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও নারীর রাজনীতিতে অংশগ্রহণে সহায়ক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন উঠান বৈঠক ও বিভিন্ন সামাজিক কাজের মধ্য দিয়ে। এছাড়াও মেহেরপুরের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা নিয়েও ভূমিকা রেখে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরণ জানান, এক সময় মেহেরপুরের রাজনীতিতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহন ছিলনা বললেই চলে। কিন্তু সৈয়দা মোনালিসা ইসলামের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মেহেরপুরের নারীরা এখন রাজনীতির মাঠে বেশ সক্রিয়। মোনালিসার দিক নিদের্শনায় শক্তিশালি সংগটনে রুপ নিয়েছে মেহেরপুরের যুব মহিলা লীগ। বিভিন্ন সভাসমাবেশ ও সামাজিক কাজে যুব মহিলা লীগের সক্রিয় অংশগ্রহন এখন চোখে পড়ার মত।
মেহেরপুর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক রুতশোভা মন্ডল জানান, সঠিক নেতৃত্ব একটি দলকে অনেক দুর পর্যন্ত নিয়ে যায়। মোনালিসার মধ্যে সেই নেতৃত্বের গুনাবলি আছে। আমরা যারা স্থানীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি, তাদের প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখা, সাধারণ মানুষের যেকোন বিপদে আপদে তাদের পাশে থাকা এইগুলি আমরা তার কাছ থেকেই শিখেছি।
আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে সপ্ন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে যাচ্ছেন, সেই সপ্নের সামান্য সারথি হতে পারলেই আমি খুশি, জানালেন সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম। তিনি আরও জানান, দেশের অর্ধেক নারী, তারা যদি ঘরে বসে থাকে তাহলে দেশকে এগিয়ে নেয়া কঠিন। তাই আমার জায়গা থেকে সাধ্য মত চেষ্টা করি, যাতে প্রতিটি সামাজিক কাজে নারীদের অংশ গ্রহন থাকে। মেহেরপুরের নারীদের একটি বিরাট অংশ এখন নিয়মিত সরকারের উন্নয়ন প্রচার করছে একবারে তৃনমূল পর্যায়ে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কাজে তাদের সক্রিয় অংশ গ্রহন আছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।