দূর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের সৌজন্য অনুমতির ইলিশ যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রফতানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে প্রথম দিনে ৫ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ১২ ট্রাকে ৪৫ মেট্রিক টন ৮০০ কেজি ইলিশ রপ্তানি করে। এ উপহার দুই দেশের মধ্যে সৌহাদ্য ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক্যকে আরো জোরদার করবেন বলছেন সংশিষ্টরা। প্রথম চালানে ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, আনিসা এন্টার প্রাইজ, সেভেন ষ্টার,প্যাসেফিক সি ফুট ও রিপা এন্টার প্রাইজ।
জানা যায়, দেশে ইলিশের আহরন কমে আসায় ২০১২ সাল থেকে রফতানি বন্ধ থাকলেও বিশেষ অনুমতিতে ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর দূর্গা পূজার সময়ে কেবল ভারতে নিদিষ্ট পরিমানে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়ে আসছে সরকার। এবারও শুল্ক মুক্ত সুবিধায় প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় (১০৯০ টাকা) দরে রপ্তানি করা হয়েছে। পর্যায় ক্রমে অনুমতি পাওয়া ৭৯ টি প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৩৯৫০ টন ইলিশ ৩০ অক্টোম্বরের মধ্যে রফতানি শেষ করার নির্দেশ রয়েছে।
ভারতীয় রফতানিকারকেরা জানান, এসব ইলিশ ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পশ্চিম বাংলাসহ বিভিন্ন স্থানে খোলা বাজারে বিক্রী করবেন। এতে সব শ্রেনীর মানুষ কেনার সুযোগ পাবে।
ইলিশ রফতানি কারকের প্রতিনিধি রাজ্জাক জানান, তারা আশা করছেন সরকার ঘোষিত নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে ইলিশ রফতানি শেষ করতে পারবেন। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুর রহমান জানান,পূজায় ভারতীয়দের প্রিয় এই ইলিশ উপহার দুই দেশের মধ্যে বানিজ্যিক ও সৌহার্দ্য সম্পর্ক্য বৃদ্ধি করবে।
বেনাপোল মৎস পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রের ইন্সেপেক্টর আসাওয়াদুল ইসলাম জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে রফতানি হওয়া ইলিশের মান পরীক্ষা করে ছাড় পত্র দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।