সাতক্ষীরায় সাড়ে ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলা শুরু

আগের সংবাদ

নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে বাজারের ফল

পরের সংবাদ

মণিরামপুরে চাঁদার দাবীতে যুবক অপহরণ : উপজেলা চেয়ারম্যানের পিএস আশিক আটক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩ , ৮:৩৩ অপরাহ্ণ আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩ , ৮:৩৪ অপরাহ্ণ

মণিরামপুরে ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সাজিদ হাসান (৪০) নামের এক যুবককে অপহরণের দায়ে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত আশিকুর রহমান (৩৫) মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানমের ব্যক্তিগত সহকারি বলে জানাগেছে। অবশ্য আশিককে গত জুলাই মাসে ব্যক্তিগত সহকারি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম। অপহৃত সাজিত হাসানকে পুলিশ উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।

আটক আশিকুর রহমান উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামের মিজানুর রহমান খানের ছেলে। এ ঘটনায় সাজিদ বাদি হয়ে অপহরন ও চাদা দাবির অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন। যার মামলা নম্বর ১৯। অপহৃত সাজিদ হাসান মেসার্স অর্থ প্রাইভেট লিমিটেডে চাকরী করেন। সাজিদ ঢাকার কেরানিগঞ্জের কাজী মাহমুদুল হাসানের ছেলে।

জানাযায়, মঙ্গলবার ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্টাফ প্রতিষ্ঠানের কাজে এ উপজেলায় আসলে এদিন বিকেলে অস্ত্র ঠেকিয়ে আশিকুর রহমানসহ তিন যুবক সাজিদকে অপহরণ করে পৌরশহরের গোহাটা মোড়ের একটি বাড়িতে রাতভর আটকে রাখে। এসময় তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনা জানাজানি হবার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পৌরশহরের গোহাটা এলাকার একটি বাসা থেকে অপহৃত স্টাফ সাজিদ হাসানকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আশিকুর রহমানকে আটক করে পুলিশ।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কাজল বিশ্বাস জানান, তিনি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে মনিরামপুর, বাঘারপাড়া ও ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৩৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের প্রকল্প পান। ইতিমধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সে মোতাবেক সোমবার ঢাকা থেকে বিশেষ কাজে প্রতিষ্ঠানের স্টাফ সাজিদ হোসেনকে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.তন্ময় বিশ্বাসের কাছে পাঠান। বিকেলের পর থেকে তার স্টাফের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে তিনি চিন্তায় পড়েন। রাত ১০ টার পর আশিকুর রহমান তার মোবাইলফোনে ফোন দিয়ে মুক্তিপন হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এসময় আশিকুর রহমানকে তার স্টাফকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও কাজে আসেনি। এক পর্যায় তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে ঘটনা জানিয়ে তার স্টাফকে উদ্ধারের অনুরোধ করেন।

ওই রাতেই মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পৌরশহরের গোহাটা এলাকার একটি বাসা থেকে সাজিদ হাসানকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের হাতে আশিকুর রহমান আটক হন।

উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম সাংবাদিকদের জানান, গত জুলাই মাসে আশিকুর রহমানকে পিএস থেকে বাদ দিয়েছেন।মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় সাজিদ হাসান বাদি হয়ে আশিকসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

জেআ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়