যশোরের কেশবপুরে আর্থিক সমস্যার কারণে পিতা হারা মেধাবী দুই যমজ ভাইয়ের পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উপজেলার বেলকাটি গ্রামের মৃত মোসলেম খাঁ’র ছেলে যমজ সন্তান তুহিন ও তুষার। তাঁদের পরিবার এখন অর্থ সঙ্কটে ভুগছে। যমজ সন্তান তুহিন ও তুষারের পরিবারের একমাত্র আয় উপার্জন করছে তাঁদের মা জাহানারা বেগম। পিতা হারা দুই সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই অসহায় এ মা জাহানারা। অন্যের বাড়িতে কাজ করে দুই সন্তানের পড়াশোনা চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে জাহানারার। পরিবারের আয় উপার্জনের মতো কেউ না থাকায় অন্যের বাড়ি কাজ করে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেতে ও সংসার চালিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছে তুহিন, তুষার ও তাঁদের মা জাহানারা বেগম। তাছাড়াও তাদের পড়াশোনার খরচ বহন করতে পারছে না তাদের মা, যে কারণে পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাঁদের। যার জন্য চরম ভোগান্তিতে পড়েছে তাঁরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পিতা মোসলেম খাঁ’র মৃত্যুর পর তাদের সংসারে চলে আসে চরম দুর্ভোগ। সন্তানদের পড়াশোনার খরচসহ সংসার চালানোর জন্য অন্যের বাড়ি কাজ করে যমজ দুই সন্তানের মা। পরিবার টা খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। এমনকি তাদের থাকার মতোও তেমন কোনো ঘর নাই। ছোট্ট একটা কুঁড়ে ঘরে থাকে তারা মা-ছেলে তিন জন। চারিদিকে টিন দিয়ে ঘেরা একটা কুঁড়ে ঘরে তাদের সংসার চলছে কোনো রকমে। পিতা হারা দুই সন্তান কে মানুষের মতো মানুষ করতে চান মাতা জাহানারা। তবে মায়ের টুকটাক ইনকাম দিয়ে এখন আর চলছে না তাঁদের সংসার।
প্রতিবেশী সাকিব জানায়, যমজ দুই ভাই ওরা খুব মেধাবী শিক্ষার্থী। পড়াশোনায় সবার প্রথম তবে তাদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছে না তাদের মা। পরের বাড়ি কাজ করে যা ইনকাম হয় তাতে দুই ছেলেকে পড়াশোনা ও সংসারের খরচ চালাতে হয়।
প্রতিবেশী এক মহিলা জানায়, এই এলাকার মধ্যে এরা দুই ভাই খুব মেধাবী। তাঁদের পড়াশোনা খরচ আর সংসারের অর্থ উপার্জনের জন্য তাঁদের মা কে খুব কষ্ট করতে হয়। এদের দেখার মতো কেউ নাই।
যমজ দুই ভাই বলেন, আমাদের আব্বু নাই, আম্মু অন্যর বাড়ি কাজ করে আমাদের সংসার টিকিয়ে রেখেছে। এই উপার্জনে সংসার এবং আমাদের পড়াশোনার খরচ বহন করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমরা অনেক পড়াশোনা করতে চাই। আমাদের মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে চাই।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।