অর্থকষ্টে দিনাতিপাত করতে হয় মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলে এক শ্রেণির বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর। তারপর আবার এনজিও ঋণে জড়িয়ে অসংখ্য দরিদ্র পরিবার সর্বশান্ত হতে চলেছে। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থদের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে।
জানা যায়, রাজগঞ্জ অঞ্চলের অসংখ্য দরিদ্র মানুষ এনজিও ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্টীর শতকরা ৬৫ ভাগই এনজিও থেকে ঋন গ্রহণ করেছে। অভাবের তাড়নায় ঋণ নিয়ে অধিকাংশরাই বর্তমানে ঋণ খেলাপী, কারণ তাদের ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য নেই। কেউ কেউ একটা ঋণ শোধ করতে অন্য এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে, ফলে ঋণ শোধ হচ্ছে না, আবার অন্য একটা ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে। এভাবেই এ এলাকার দরিদ্রদের ঋণের বোঝা দিন দিন ভারি হচ্ছে।
এনজিও কর্মীদের চাপের মুখে অনন্যপায় হয়ে কখনো ঘরের চাল বিক্রি আবার কখনো ঘরের দ্রব্যাদি বন্ধক রেখে কিস্তি দিচ্ছেন কেউ কেউ। পাশাপাশি একের পর এক ঋণগ্রস্ত হয়ে শেষ সম্বল ভিটে মাটি টুকুও ছাড়তে হচ্ছে তাদের।
রাজগঞ্জ অঞ্চলের অনেকেই বলেন, আমরা এনজিওর টাকা তুলি শোধ করতি না পাইরে কেউ কেউ গরু বেচি দিচি। নিজেদের ভাগ্যন্নোয়নের জন্য ঋণ নিয়ে এসব অসহায় মানুষের ভাগ্যের উন্নতি তো হয়নি, বরং তাদের অসহায়ত্ব ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। এঅবস্থা চলতে থাকলে এলাকায় দারিদ্রতার হার আরো বেড়ে য়াবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।