পরিষ্কারের অভাবে লতাপাতা ও ছোটো ছোটো গাছে ভরে গেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) বিভিন্ন স্থান । ফলে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়ঙ্কর ঝোপঝাড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের উদাসীনতায় ক্যাম্পাস জুড়ে এসব ঝোপঝাড়ে সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসন এ সমস্যার সমাধান না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের পাশে,পকেট গেইট সংলগ্ন রাস্তার পাশে, প্রশাসনিক ভবনের পেছনে ও ভিসি বাংলো থেকে লাইব্রেরী ভবনমুখী রাস্তার পাশে, নীল দিঘীর চারপাশে,শান্তিনিকেতনের উত্তর পার্শ্বে, মন্দিরের চারপাশে,কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পূর্ব ও উত্তর পার্শ্বে,কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে স্থান গুলোতে জঙ্গলে রূপান্তরিত হয়েছে।
এদিকে,বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঝোপঝাড়ে রুপ নিয়েছে দীর্ঘদিন অপরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা একাডেমিক ভবন-৩ এর চারপাশ।ভবনটির ভেতরে লতা পাতা ও গাছগুলো ঘন জঙ্গলে ন্যায় হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থী সুত্র জানা যায়, ঝোপঝাড় গুলো অপরিষ্কার রাখায় প্রতিনিয়ত সাপ আতঙ্কে দিন পার করছে শিক্ষার্থীরা। বেশ কয়েকদিনের ব্যবধানে সাপের দেখা মিলেছে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের সিড়ির পাশে ও আব্দুল মালেক উকিল হলের ওয়াশরুমগুলোতে। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলদিঘীর পাড়ে সাপের দংশনের শিকার হন ইইই বিভাগের এক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সাপ আতঙ্ক আরো চরম আকার ধারন করেছে।
ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের শিক্ষার্থী মো.আশেকুর রহমান বলেন, ঝোপঝাড়ের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তাগুলো সুরু হয়ে যাচ্ছে ফলে প্রতিনিয়ত দিনেদুপুরে সাপ বেড়িয়ে আসছে, এটা খুবই ভয়ানক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি তাড়াতাড়ি যেনো এর ব্যবস্থা করে। সেইসাথে সকল শিক্ষার্থীদের অ্যান্টিভেনামের আওতায় আনার জানাচ্ছি।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো: সাজেদুল হক তুষার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত ঝোঁপঝাড় ও বর্ধনশীল লতাপাতা।এতে হলগুলোতে মশা, মাছি, ও সাপের উপদ্রব যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে।তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তারা যেন অনতিবিলম্বে এসব ঝোঁপঝাড়,আগাছা গুলো পরিষ্কার করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ক্যাম্পাসে ঝোপঝাড় বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে। ঝোপঝাড়গুলো অতিসত্ত্বর
পরিস্কার করতে নির্দিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ইনশাআল্লাহ আগামী কার্যদিবস থেকেই ঝোপঝাড় পরিষ্কার অভিযান শুরু হয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।