যশোরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘একজিমা এক প্রকার চর্ম রোগ যা বাংলাদেশের মানুষের কাছে পামা, বিখাউজ, কাউর ঘা ইত্যাদি স্থানীয় নামে পরিচিত। চিকিৎসা শাস্ত্রে এটিকে সচরাচর এটপিক ডার্মাটাইটিস হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে একজিমার অন্যতম উৎস বংশগত বলে ধারণা করা হয়। এই রোগে ত্বকের বিশেষ কোন কোন স্থানে প্রদাহ সৃষ্টি হয়’।
তিনি বলেন, ‘শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় একজিমা আরও প্রকট হয়। চুলকানির স্থানে নখ দিয়ে চুলকানোর ফলে ক্ষত স্থান আরও খারাপ হয়। একজিমা ত্বককে লাল করে তোলে। ত্বকে জ্বালা করে এবং চুলকানি হয়। বাচ্চাদের ত্বকে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়, তবে যে কোনও বয়সেই এটা হতে পারে। একবার একজিমা হলে তা সহজে সারতে চায় না। দীর্ঘদিন ভোগায় এই রোগ। শরীরের বিভিন্ন জায়গাতেই হতে পারে এই চর্মরোগ। এর সঙ্গে হাঁপানি এবং জ্বরও হতে পারে। এখনও পর্যন্ত একজিমা ঠেকানোর কোনও উপায় খুঁজে বের করতে পারেননি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। তবে এই রোগ হলে চিকিৎসা করা হয়। চিকিৎসার ফলে চুলকানি ও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া ঠেকানো যায়।’
বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের সভাকক্ষে বিশ্ব এটোপিক ডার্মাটাইটিস বা একজিমা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক এ কথা বলেন। মেডিকেল কলেজের ডার্মাটালোজি বিভাগের রেজিষ্টার ডাক্তার গোলাম মোর্তুজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার গৌতম কুমার আচার্য্য, হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিমাদ্রি শেখর সরকার, সার্জারি বিশেজ্ঞ ডাক্তার আব্দুর রহিম মড়ল, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার পার্থ প্রতিম চক্রবর্ত্তী, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুস সামাদ, চর্ম ও যৌন বিভাগের সিনিয়র বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিউল্লাহ সবুজ, ডাক্তার কেয়া তরফদার, ডাক্তার তৌহিদুর রহমানসহ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবন থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের দড়াটানা মোড় ঘুরে আবার হাসপাতাল চত্বরে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।