জান্নাতি খাতুন বয়স মাত্র ৬ বছর। বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ ছিল ১১ ঘন্টা। বাড়ীর পাশের ডোবা থেকে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার লাশ ভাসতে দেখে স্বজনরা। কিন্তু এই ডোবায় কায়েকবার তাকে তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়েছিল। এরপর শিশুটির কোন খোঁজ পাওয়া না গেলে থানায় জিডি করের তার পিতা। নিখোঁজের আগে শিশুটির কানে স্বর্ণের দুল ছিল। রহস্যজনক ঘটনা শিশুটির লাশ উদ্ধারের পরে তার গায়ে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন।
পরিবারের অভিযোগ শিশুটিকে ধর্ষনের পর হত্যা করে সন্ধ্যার পর কোন এক সময়ে সুযোগ বুঝে ফেলে রেখে গেছে নরপিশাচরা। সোমবার রাতে এমনই নির্মম ও নির্দয় ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের বাগুটিয়া গ্রামে। সে একই এলাকার কৃষক খোকন ভূইয়ার মেয়ে ও পার্শবর্তী গ্রাম বকশিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ফুটফুটে জান্নাতি খাতুনকে হারিয়ে পরিবারের সবাই পাগলপ্রায় ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, সোমবার বেলা ১২টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে রাস্তার পাশে শনপাপড়ি কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় জান্নাতি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে বিকেলে তার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। শিশুটির বাবা খোকন ভূইয়া বলেন, সোমবার জান্নাতি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে রাস্তার পাশে শনপাপড়ি কিনতে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। বাড়ির পাশের বিভিন্ন পুকুরে সারাদিন তাকে খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া না গেলে থানায় একটি জিডি করেন তিনি। পরে হঠাৎ রাত ১০টার দিকে জান্নাতির লাশ পুকুরে ভাসতে দেখেন তারা। তিনি বলেন, এ পুকুরেও তিনি তার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলেন।
খোকন ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের ডান হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লুকিয়ে রাখা হয়। এরপর রাতের যেকোন সময় তাকে ডোবায় ফেলে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, বাগুটিয়া গ্রামের ডোবা থেকে জান্নাতি নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার হাতে থারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।