চুল কেটে মাথায় ডিজাইন করে একজন ৫টি আর অন্যজন বানিয়েছেন ৪টি নৌকা। ব্যতিক্রম কিছু করলে তো অবশ্যই নজরে পড়বে। সাধারণত বিভিন্ন খেলায় নিজের চুলের কাটিং পরিবর্তন করে নজরে পড়তে দেখা মেলে। কিন্তু দলের প্রতি ভালোবাসার এমন নজীর খুব কমই দেখা যায়। নিজের মাথার চুলের কাটিং পরিবর্তন করে দলীয় প্রতিক “নৌকা” বানিয়ে দুই জন রিতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। মিছিল-মিটিং সবখানেই তাদের সরব উপস্থিতি সকলের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। জেলার হলিধানী ইউনিয়নের শালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইনতাজ মন্ডলের ছেলে রনি এবং একই ইউনিয়নের কোলা গ্রামের বাসিন্দা আতর আলীর ছেলে ওমর।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রশীদ বাউল জানান, ভালোবাসা প্রকাশে কতকিছুইনা করে কত শত মানুষ। কিন্তু দলের প্রতি ভালোবাসার অনন্য নজীর স্থাপন করেছেন ঝিনাইদহের দুই দিনমজুর রনি মন্ডল ও ওমর আলী। রনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ও ওমর অনিয়মিত ইজি বাইক চালক। তাদের ব্যতিক্রমী চুলের কাটিং মানুষকে নজর কাড়তে বাধ্য করছে। এলাকায় রিতিমতো হৈচৈ পড়েছে। একনজর দেখতে সবসময় তাদের চারপাশে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। রনি তার মাথায় ডিজাইন করে ৫টি নৌকা আর ওমর বানিয়েছেন ৪টি।
এলাকাবাসী মামুন জানান, দলের প্রতি চরম ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। তারা দরিদ্র হলেও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবাসা অনন্য উদাহরণ গড়েছেন। গ্রামের রাস্তায়, চায়ের দোকানে এমনকি মিছিলেও এই চুলের কাটিং নিয়ে চলছে তাদের সরব উপস্থিতি । বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন মতামত পাচ্ছেন নিয়মিত। ওমর আলী বলেন, এই ইউনিয়নের ঢাকাপাড়ার সরকারি খাসজমিতে থাকতাম। আমার স্ত্রী অনেক আগে আমাকে ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে চলে গেছে। এরপর আর সংসার করা হয় নাই। অটো চালিয়ে জীবন-যাবন করি।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নাই। আমি আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে মাথার চুল কেটে নৌকা বানিয়েছি। এ দিকে রনি বলেন, আমি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। আমাদের কোন চাওয়া পাওয়া নেই। আমরা সত্যিই শেখ হাসিনাকে ভালোবাসি। আওয়ামীলীগকে ভালোবাসি তাই চুল কেটে নৌকা বানিয়েছি। হলিধানী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, আমরা অত্যন্তু খুশী কারণ আওয়ামীলীগকে অনেকেই ভালোবাসে কিন্তু এমন ব্যতিক্রমী ভালোবাসা সত্যিই বিরল ঘটনা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।