জাহেদী ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

আগের সংবাদ

চৌগাছায় সূধীজনদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

পরের সংবাদ

মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে একাংশের ক্ষোভ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩ , ১০:০৬ অপরাহ্ণ আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩ , ১০:০৬ অপরাহ্ণ

মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের নব গঠিত কমিটি নিয়ে ছাত্রদলের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সেই সাথে পকেট কমিটি গঠন হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। চলমান আন্দোলনকে বেগবান করার ক্ষমতা নতুন কমিটির কারও নেই বলে জানান অনেকেই। আবার নতুন কমিটিতে জায়গা পেয়েও কাঙ্খিত পদ না পেয়ে পদ ত্যাগ করারও হুমকি দিচ্ছেন কেউ কেউ।

গত ৭ সেপ্টেম্বর আকিব জাভেদ সেনজিরকে সভাপতি ও সাজেদুর রহমান বিপ্লবকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেই কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল সাক্ষরিত এক চিঠিতে কমিটির বিষয়টি জানানো হয়। কমিটি গঠনের পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে জেলা ছাত্রদলের একাংশ। কেউ কেউ ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েও জানান ক্ষোভের কথা। সেই সাথে কমিটি বাতিল করে আন্দোলন সংগ্রামে যারা সব সময় সামনে থেকে ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের যোগ্য পদে বসানোর দাবি জানান তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নতুন কমিটিতে জায়গা পাওয়া ছাত্রদলের এক নেতা জানান, মেহেরপুর জেলা সদরের নেতৃত্ব শূণ্য করে মুজিবনগর উপজেলা, গাংণী উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ছাত্রদলের নেতাদের এনে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা এই আন্দোলন সংগ্রামকে নষ্ট করার একটি ষড়যন্ত্র। মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের কমিটি একটি হাস্যকর কমিটিতে রুপান্তর করা হয়েছে। চলমান আন্দোলন সংগ্রামকে বেগবান করতে হলে এই পকেট কমিটি ভেঙ্গে যোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানান ওই ছাত্রদল নেতা।

জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি শান্ত আহাম্মেদ বিশ্বাস জানান, আমড়া গাছে যেমন আম হয় না, ছাগল দিয়ে যেমন হাল চাষ করা যায় না, তেমন টাকা দিয়ে পকেট কমিটি করে আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামকে সফল করা সম্ভব করা যায় না। এই অবৈধ পকেট কমিটি আমরা মানি না মানবো না, এই অবৈধ কমিটি বিলুপ্ত করে দিয়ে শিঘ্রই নতুন কমিটি দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু জানান, টাকার কাছে নীতি নৈতিকতার কোন মূল্য নেই। নতুন কমিটির সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজিরকে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।

তবে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন বলেন, জেলা ছাত্রদলের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিষয়টি এমন না। মাত্র কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে। তবে আমরা চলমান অন্দোলনকে বেগবান করার ক্ষমতা যাদের আছে তাদের কমিটিতে স্থান দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলাম। তারাই কমিটিতে জায়গা পেয়েছে। আমার বিশ্বাস আমাদের যে লক্ষ্য নতুন কমিটির সদস্যরা সেটি অন্য যে কারও চাইতে পূরণ করতে পারবে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহসভাপতি আলমগীর হোসেন, সহসভাপতি তৌফিক এলাহি শাকিল, নাহিদ মাহবুব সানি, নাজমুল হক শান্ত, জুয়েল রানা, রেজওয়ানুল হক ইমন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাজন, যুগ্ম সম্পাদক আমির হাসান হিমেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সাঈদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন হোসেন, রাসেল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক লিজন আলী, প্রচার সম্পাদক রাব্বী হোসেন।

এসএমরা/জেআ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়