দৃষ্টিহীনদের কণ্ঠে সুরের সুধা

আগের সংবাদ

জাবির রসায়ন বিভাগের দুই কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

পরের সংবাদ

ঢাবির হলে সিট না পেয়ে ফেসবুকে ছাত্রলীগ কর্মীদের ক্ষোভ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩ , ২:২২ অপরাহ্ণ আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩ , ২:২২ অপরাহ্ণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে আশ্বাস সত্ত্বেও সিট না দেওয়ায় ফেসবুকে  গণহারে ক্ষোভ প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। তারা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী।

বুধবার দুপুর থেকে তারা পোস্ট দিতে শুরু করেন। পরে অনেকে পোস্ট ডিলিট করেন। তাদের পোস্টের কয়েকটি স্ক্রিনশট সমকালের কাছে রয়েছে। তারা সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

এক শিক্ষার্থী পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের সিট লাগবে না। আর মাত্র ৩ বছর গণরুমেই কাটিয়ে দিতে পারবো। তৃতীয় বর্ষে গণরুম থেকে বলছি।’

কয়েকজন শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘কর্মীদের প্রতি যারা উদাসীন, নেতৃত্ব তাদের জন্য বেমানান।’

একজন লিখেছেন, ‘হলে সিট চেয়েছিলাম, ভিক্ষা চাইনি। সিট দিতে গিয়ে কেন এত অবহেলা। আপনারা (হলের পদপ্রত্যাশী নেতারা) আমাদের হলের অভিভাবক বলে মুখের কথা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু আপনারা কথা না রাখলে আর কাকে অভিভাবক হিসেবে বিশ্বাস করব?’

আরেকজন লিখেছেন, ‘দাসপ্রথার আধুনিক সংস্করণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমপ্রথা।’

নাম না প্রকাশের শর্তে এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, ‘আমরা গণরুমে ২০-২৫ জন গাদাগাদি করে থাকি। আমাদেরকে ভাইয়েরা (নেতা) আশ্বাস দিয়েও সিট দিচ্ছেন না। তাই ফেসবুকে পোস্ট দিই। পরে অনেকে চাপের কারণে ডিলিট করে দিয়েছে। আমাকেও হয়তো ডিলিট করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গত ১ তারিখ সমাবেশের পর ভাইরা আমাদের ডাকে। সেখানে তারা আমাদেরকে আজকে ৬ তারিখ সিট বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দেন। আজকে সিট দেওয়ার কোনো কার্যক্রম না দেখে সবাই ক্ষোভ থেকে পোস্ট দিয়েছে।’

আসন্ন হল কমিটিতে পদপ্রত্যাশী নেতা শয়নের অনুসারী রনি মাহিম শিশির বলেন, ‘আমাদের হলে শিক্ষার্থী, সিটের সংখ্যা মিলিয়ে হিমশিম খেতে হয়। আমরা প্রাধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে কথা বলে একটি সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করছি। দেখি কতটুকু করা যায়।’

আরেক পদপ্রত্যাশী নেতা তানভীর মাহমুদ খোরশেদ বলেন, ‘হলের আসন সংকট নিরসনে কথা বলেছিলাম। আশা করছি, দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারব।’

জানতে চাইলে মাজহারুল কবির শয়ন সমকালকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ফেসবুকে পোস্ট দিলে আমার কিছু করার নেই। তারা সরাসরি আমার কাছে এসে বলতে পারে। তাদেরকে কে আশ্বাস দিল, আমি জানি না।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়