তিস্তা অববাহিকায় দুই কোটি মানুষের জীবন মহাদুর্যোগে

আগের সংবাদ

আ.লীগের তদন্ত কমিটির কাছে এমপি হোসনে আরার সাক্ষ্য

পরের সংবাদ

স্বামীর ছোড়া গরম পানিতে ঝলসে গেছে গৃহবধূর শরীর

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩ , ২:১১ অপরাহ্ণ আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩ , ২:১১ অপরাহ্ণ

জয়পুরহাটের কালাইয়ে যৌতুকের দাবিতে কলহের জেরে স্বামীর ছোড়া গরম পানিতে এক গৃহবধূর হাত-পা ও পিঠসহ শরীরের বেশ কিছু অংশ ঝলসে গেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তালোড়া বাইগুনি গ্রামে গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ওই গৃহবধূর নাম সুরাইয়া আক্তার (২২)। তিনি তালোড়া বাইগুনি গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী এবং একই গ্রামের ভ্যানচালক আসমান ফকিরের মেয়ে।

তাকে রাতেই স্বজনরা কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখান থেকে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্কে উভয় পরিবারের সম্মতিতে এক বছর আগে সুরাইয়ার সঙ্গে সুমন মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে সুমনকে ১ লক্ষ টাকা, এক ভরি সোনা ও বেশ কিছু আসবাবপত্র দেয় সুমাইয়ার পরিবার। বিয়ের পর থেকে সুমন আরও যৌতুকের দাবিতে সুরাইয়াকে মারপিট করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার রাতে ভাত রান্নার সময় যৌতুক চেয়ে সুরাইয়ার শরীরে ভাতের পাতিলের গরম পানি ছুড়ে মারেন সুমন। এতে তার দুই পা, পিঠ ও দুই হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে সুরাইয়ার বাবা-মা ঘটনাস্থলে এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে মেয়েকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

সুরাইয়ার বাবা আসমান ফকির জানান, তাদের আর্থিক অবস্থাও খুব খারাপ। ভ্যান চালালে সংসার চলে। যৌতুকের টাকার জন্য অনবরত তার মেয়েকে চাপ দিত সুমন। এ নিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের প্রায়ই ঝগড়া হতো। অনেকবার মারধরও করেছে মেয়েকে। আজ গরম পানি ঢেলে তার মেয়ের শরীর ঝলসে দিয়েছেন।

স্বামী সুমন মিয়া বলেন, রাগের মাথায় আমি স্ত্রীর গায়ে গরম পানি ছুড়ে মেরেছি। তবে হত্যার উদ্দেশ্যে করেননি।

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাহিদা আক্তার ডেইজি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ওই রোগী ভর্তি হয়েছে। তার শরীরের বেশ কিছু অংশ ঝলসে গেছে। এরমধ্যে গোপন অংশও আছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারি বলেন, ঘটনা সম্পর্কে অবগত। তবে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বা মামলা হলে ব্যবস্থা নিব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়