ঢাকা কলেজ
একটি ক্যাম্পাস প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে আবেগ আর ভালোবাসার জায়গা। ক্যাম্পাস জুড়ে থাকে কত শত স্মৃতি আর ভালোবাসা। পড়াশোনা, আড্ডা, গানবাজনা, বন্ধুদের সঙ্গে ঠাট্টা-হাসি, দুষ্টামি আর খুনসুটি। কত শত স্মৃতি বিজড়িত মুহূর্ত আছে ক্যাম্পাস জুড়ে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবন জুড়ে আনন্দের সিংহভাগ থাকে ক্যাম্পাস জীবনে। কিন্তু হঠাৎ করোনাভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত পুরো বিশ্ব। আর সেই আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বস্তরের মানুষের অন্তরে। কোথায় এর শেষ, জানা নেই কারও। আর সেই সঙ্গে বেড়ে চলছে ১৮ একরের বিস্তৃত প্রিয় ক্যাম্পাসের (ঢাকা কলেজ) প্রতি মায়া ও ভালোবাসার টান। নিস্তব্ধ পৃথিবীর সবকিছু। নেই কোনো আগের মতো রূপ। সব যেন অচলাবস্থায়। কেমন আছে প্রিয় ক্যাম্পাসটি, এ প্রশ্ন যেন মনের অন্তরালে ঘুরপাক খাচ্ছে বেলা-অবেলায়। প্রিয় ক্যাম্পাসের সব স্মৃতি যেন আমাকে কাতর করে তুলছে। এই মন হারিয়ে যায়, ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার, বিজয় চত্বর কিংবা কলেজ মাঠের আড্ডায়। এই স্থানগুলোতে এখন তো আর কেউ ভিড় জমায় না। ক্যাম্পাসে প্রথমে গিয়ে বন্ধুদের নিয়ে টঙের দোকানে চায়ের আড্ডায় মেতে ওঠা। ক্লাস শেষে পুকুরপাড়ে বসে, বন্ধুদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঝালমুড়ি খেতে খেতে আড্ডা দেওয়া। কলেজ মাঠে খেলাধুলায় মেতে উঠে জয়-পরাজয়ের আনন্দ উপভোগ করা। লাইব্রেরির কোনো এক চেয়ারে বসে হারিয়ে যেতাম বইয়ের পৃষ্ঠায়। সকাল, দুপুর কিংবা সন্ধ্যা। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকত গোটা ক্যাম্পাস। মনের আনন্দে ছবি তোলা। শিক্ষার্থীদের হৈ-হুল্লোড় করে বাস ধরার প্রতিযোগিতাটিও এখন আর চোখে পড়ে না। বইয়ের পৃষ্ঠায় হারিয়ে যেতাম অতীতের উদ্ভট কিছু জানতে আর সাফল্য এনে দেবে, এমন প্রত্যাশা থাকে মনে। কিন্তু এখন তো আর এমন হয় না। আজ সব যেন স্মৃতি। কলেজের প্রতিটি আবাসিক হল যেন আজ কীটপতঙ্গের আবাসস্থল। ধুলাবালিতে একাকার পড়ার টেবিল আর শোয়ার খাট।
নীরবে মুখর পুরো ক্যাম্পাস। হয়তো কলেজ বাসগুলোর সিটের ওপর পড়ে আছে ধুলোবালির স্তূপ আর জমে আছে মরীচিকা। তবুও ফিরে যেতে চায় যে এই মন প্রিয় ক্যাম্পসে। আর প্রাণ খুলে বলতে চাই- আসবে কবে ফিরে পৃথিবী আগের রূপে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।