লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম। এই ভেন্যুতে আফগানদের বিরুদ্ধে ব্যাটিং দাপটে দারুণ জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। অথচ সেই ভেন্যুতেই সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরে সুপার ফোর পর্ব শুরু করেছে সাকিব বাহিনী।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পেসার হারিস রউফ ও নাসিম শাহর বোলিং তোপে মাত্র ১৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ, ৩৮.৪ ওভারে। জবাবে ৬৩ বল হাতে রেখে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান, ১৯৪/৩। সর্বোচ্চ ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার ইমাম-উল-হক।










বাংলাদেশের দেওয়া ১৯৪ রানের জবাবে সাবধানী ব্যাটিং শুরু করে পাকিস্তান। ওপেনিং জুটিতে ৩৫ রান তোলে স্বাগতিকরা। ব্যক্তিগত ২০ রানে শরীফুলের বলে লেগ বিফোর হয়ে সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তান ওপেনার। দলীয় ৭৪ রানের সময় স্বাগতিক শিবিরে সবচেয়ে বড় আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। ১৭ রান করা পাকিস্তান দলপতি বাবর আজমকে বোল্ড করেন বাংলাদেশ পেসার।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইনিংস মেরামত করেন ইমাম-উল-হক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটি। ৮৪ বলে ৭৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে মিরাজের শিকার হন ইমাম। ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটির পথে ৫টি চার এবং ৪টি ছক্কা মারেন এই ওপেনার। রিজওয়ান ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটি তুলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন। আগা সালমানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন পাকিস্তান উইকেটকিপার। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন, মিরাজ এবং শরীফুল একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে লাহোরের ব্যাটিং স্বর্গে টস জিতে পাকিস্তানের পেস আক্রমণের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশ। স্বাগতিক পেস ত্রয়ী শাহীন, নাসিম ও হারিসের তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে যায় টাইগাররা। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৪৭ রান তুলতেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারায় সাকিব বাহিনী। গোল্ডেন ডাকে নাসিমের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মিরাজ। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরে ১৬ রানে আউট হন লিটন দাস। ওপেনার নাঈম শেখ ও তাওহীদ হৃদয় আউট হলে ৪৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে বাংলাদেশকে টেনে তোলেন সাকিব ও মুশফিক। পঞ্চম উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়েন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ফিফটির পর ফাহিম আশরাফের বলে ৫৩ রানে আউট হন সাকিব। এর আগে ক্যারিয়োরের ৫৪তম ফিফটি পূরণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আরেক ব্যাটার মুশফিকও ক্যারিয়ারের ৪৭তম ফিফটি তুলে ৬৪ রানে ফেরেন।










সাকিব ও মুশফিকের বিদায়ের পর পাকিস্তানের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের টেল এন্ডাররা। মাত্র ৩ রান তুলতেই বাকি তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফলে ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের পক্ষে হারিস রউফ মাত্র ১৯ রানে চারটি উইকেট নেন। নাসিম শাহ তিনটি এবং শাহীন আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ ও ইফতিখার আহমেদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, রূপান্তর প্রতিদিন এর দায়ভার নেবে না।